Gabkhan Bridge or the Suezcanal of Bengal


Built on the Gabkhan Channel, which runs through the middle of Jhalokati Sadar Upazila on the Barisal-Pirojpur Highway, this bridge is known as the 5th Bangladesh-China Friendship Bridge in Bangladesh. The construction style of Gabkhan Bridge sets it apart from other bridges in the country. The Gabkhan Channel is the only artificial waterway in Bangladesh known as the Suez Canal in Bengal. Launched in 2002, the bridge cost around Tk 81 crore.


Ships of Bangladesh-India Protocol Agreement and cargo ships of Dhaka-Khulna-Mongla-Chittagong route ply regularly through Gabkhan Channel. Its construction style is different from all other bridges in Bangladesh. The Gabkhan Channel is also the only artificial waterway in Bangladesh. The Gabkhan Channel, known as the Suez Canal in Bengal, was excavated in the late 1800s. It is connected to the coastal districts of Jhalakathi by Bishkhali, Sugandha, Pirojpur by Kacha, Sandhya and Barguna by Baleshwar River.


Since the establishment of Mongla Port in 1950, it has been used as an international waterway. The 18 km long Gabkhan River plays an important role in Bangladesh's maritime communication with West Bengal, Assam and Meghalaya in India. Every day 60 to 70 domestic and foreign goods and passenger ships pass through this river. At one time the width of this river was 250 meters. Now it has reached 100 meters. In some places the width is even less. Navigability has been reduced due to siltation of large areas at the entrance of Sugandha River. Now there is a serious disruption in the movement of ships.


At least 40-50 oil tankers go to Khulna through this route every month. There is also no alternative to this route for other goods and passenger ships. In order to pass through this route, cargo ships have to travel more than 450-500 km along the Sundarbans and Barguna coasts.


Gabkhan is the only international waterway in the south. The Gabkhan Bridge connects the interstate highways from Faridpur-Barisal through Jhalokati to Khulna, Jessore, Benapole and Satkhira. The bridge is 650 meters long and 10 meters wide. However, there are no pillars in the middle of the bridge. The ideal height of Gabkhan Bridge from the surface of the water is 60 feet. The Gabkhan Channel is used as an international waterway and the Gabkhan Bridge has been built so high because of the reduced navigability of the channel. And that is why we see such amazing scenes even in such ordinary places.


In Chandpur, on the day of any festival, people gather at the Chandpur Bridge, which stands on top of our little robbery. On the first day of Boishakh, Eid-ul-Fitr, Eid-ul-Azha, Victory Day, Independence Day and International Mother Language Day, there is an overflowing crowd on our bridge. The Gabkhan Bridge seems to be collapsing like a bee's wheel. And here is the highest bridge. So travel lovers come from above this bridge to enjoy the fresh air of nature, the river, the estuary of the river.


Perhaps due to the popularity of the Gabkhan Bridge, work is underway to set up a National Ecopark in the area adjacent to the bridge. The park is being constructed at the mouth of Gabkhan, Sugandha, Bishkhali and Jibanananda Dhansindri. To enjoy this beautiful natural greenery, everyone would love to walk around the bridge and walk through the river in an eco-forestry on the Bari embankment in a pollution-free environment.


Note: Bangladesh is a deltaic state and a riverine country. Most of the people in Bangladesh are directly or indirectly involved in agricultural work. Unfortunately, there has been little change in agriculture. In my opinion, if agriculture is not integrated into the mainstream of the economy and the budget is not given priority, then the suffering of agriculture and farmers will not be alleviated.


#Gabkhan #Bridge #bd #SuezcanalofBengal #bangladesh #fakhrulalam #lifeissimplebd #Barisal #Pirojpur #Sundarbans #Barguna #Jhalokati #GabkhanBridge #Channel #international #waterway #China #Bangali

গাবখান সেতু বা বাংলার সুয়েজখাল


বরিশাল-পিরোজপুর মহাসড়কের ঝালকাঠি সদর উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে চলা গাবখান চ্যানেলের উপর নির্মিত এই সেতুটি বাংলাদেশের ৫ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু হিসেবে পরিচিত। গাবখান সেতুর নির্মাণ শৈলী একে দেশের অন্যান্য সেতু থেকে আলাদা করেছে। গাবখান চ্যানেলটি বাংলাদেশের একমাত্র কৃত্রিম নৌপথ যা বাংলার সুয়েজখাল নামে পরিচিত। ২০০২ সালে চালু হওয়া এই সেতুর নির্মাণ ব্যয় হয় প্রায় ৮১ কোটি টাকা।


গাবখান চ্যানেল দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত প্রোটোকল চুক্তির জাহাজ এবং ঢাকা-খুলনা-মংলা-চট্টগ্রাম পথের পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে প্রতিনিয়ত। এর নির্মাণশৈলী বাংলাদেশের অন্য সব সেতু থেকে আলাদা। এছাড়াও এর আরো একটি বিশেষত্ব আছে গাবখান চ্যানেলটি বাংলাদেশের একমাত্র কৃত্রিম নৌপথ। বাংলার সুয়েজ খাল খ্যাত গাবখান চ্যানেলটি ১৮০০ সালের শেষের দিকে খনন করা হয়। এটি উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির বিষখালী, সুগন্ধা, পিরোজপুরের কচা, সন্ধ্যা এবং বরগুনার বালেশ্বর নদীর সাথে সংযুক্ত।


১৯৫০ সালে মংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার পর এটি আন্তর্জাতিক নৌ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং মেঘালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের  নৌ যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ গাবখান নদী। এ নদী দিয়ে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০টি দেশি-বিদেশি পণ্য ও যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল করে। কোন একসময় এ নদীর প্রস্থ ছিল ২৫০ মিটার। এখন তা ১০০ মিটারে গিয়ে পৌঁছেছে। কোনো কোনো স্থানে প্রশস্ততা আরো কম। পলি জমে সুগন্ধা নদীর প্রবেশ মুখে বিশাল এলাকাজুড়ে চর পড়ায় নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে। এখন নৌযান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে।


প্রতিমাসে তেলবাহী কমপক্ষে ৪০-৫০ টি জাহাজ এই পথ ধরে খুলনায় যায়। এছাড়া অন্যান্য পণ্য ও যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচলেও এই পথের কোনো বিকল্প নেই। এই পথ ছাড়া অন্য পথ দিয়ে যেতে হলে পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে সুন্দরবন ও বরগুনা উপকূল হয়ে প্রায় ৪৫০-৫০০ কি.মি. বেশি পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যেতে হয়।


দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র আন্তর্জাতিক নৌপথ গাবখান এই সেতু। ফরিদপুর-বরিশাল হয়ে ঝালকাঠির মাঝ দিয়ে খুলনা, যশোর, বেনাপোল, সাতক্ষীরা পর্যন্ত আন্তঃদেশীয় মহাসড়কগুলোর মেলবন্ধন এ গাবখান সেতু। সেতুটি ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থ। তবে, সেতুটির মাঝখানে কোনো পিলার নেই। পানির উপরিতল থেকে গাবখান সেতুর আদর্শ উচ্চতা ৬০ ফুট। আন্তর্জাতিক নৌপথ হিসেবে গাবখান চ্যানেলটি ব্যবহৃত হয় এবং চ্যানেলটির নাব্যতা হ্রাস পাওয়াতেই গাবখান সেতুটি এতটা উঁচু করে বানানো হয়েছে। আর এজন্যই আমরা এত সাধারণ জায়গাতেও এতটা অপরূপ দৃশ্য দেখতে পাই।


চাঁদপুরে আমাদের ছোট্ট ডাকাতিয়ার উপরে দাঁড়িয়ে থাকা চাঁদপুর সেতুতেই যেকোনো উৎসবের দিনে লোকের সমারহ ঘটে। পহেলা বৈশাখ, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিনে উপচে পড়া ভিড় থাকে আমাদের ব্রিজে। মৌমাছির চাকের মতো সেই ভিড়ে যেন মনে হয় ভেঙেই পড়বে গাবখান সেতুটি। আর এখানে তো সবচেয়ে উঁচুতে দাঁড়িয়ে থাকা সেতু। তাই এই সেতুর উপর থেকে প্রকৃতির নির্মল হাওয়া, নদী, নদীর মোহনার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমণ প্রেমীরা আসেন।


গাবখান সেতুর এই জনপ্রিয়তার জন্যই হয়তো ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ন্যাশনাল ইকোপার্ক স্থাপন করার কাজ চলছে। গাবখান, সুগন্ধা, বিষখালী ও জীবনানন্দের ধানসিঁড়ির মোহনায় নির্মিত হচ্ছে পার্কটি। সৌন্দর্যময় এ প্রাকৃতিক লীলাভূমি দেখতে ব্রীজ ঘুরে নদীর পাশ দিয়ে বেড়ি বাঁধের উপর ইকো বনায়নের মধ্য দিয়ে দূষণমুক্ত পরিবেশে পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে সকলের ভালো লাগবে।


নোটঃ বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ রাষ্ট্র এবং নদীমাতৃক দেশ। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের সাথে জডিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে। তবে কষ্টের বিষয় যে, কৃষিতে তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি। আমার মতে কৃষিকে যদি অর্থনীতির মূল ধারায় যুক্ত না হয় এবং বাজেটের প্রাধান্য না দেওয়া হয় তাহলে কৃষি ও কৃষকের কষ্ট মোচন হবে না।

Post a Comment

If you have any information to know ? Please comment.

Previous Post Next Post