The Unknown History of The Kite
The kite is a kind of light toy, which is
pulled into the sky by pulling the thread. Kites are usually made of thin twigs
with thin paper. There are also kites of different types and different elements
and designs. Kite flying is a fun game around the world. Many countries also
host kite-flying festivals and competitions. Among the South Asian countries,
kite flying is a recreational pastime in Bangladesh, India, Pakistan,
Afghanistan etc. In Bangladesh, especially in old Dhaka, kite flying festival
is celebrated on the last day of Poush month. In West Bengal, India, it is
customary to fly a kite on the day of Bishwakarma Puja.
History of the dragon:
It is believed that the first kite
originated in China about 2,800 years ago. Later it spread to other countries
in Asia - Bangladesh, India, Japan and Korea. Also, the game of kite was
introduced in Europe about 1,600 years ago. At first, kites were flown with
paper or light fibrous silk cloth. The kite is made of bamboo twigs or other
hard but flexible wood as part of other materials used. Yarn or thin rope is
also used as a very important material.
In December 1901, Newfoundland scientist
Marconi was able to capture the electromagnetic wave in the sky by attaching an
antenna to the kite. In 1852, scientist Benjamin Franklin flew a silk kite in
the sky, proving that artificial electricity was the same as electricity in the
sky. In it he used electric kites to conduct electricity from lightning. Forty
feet long iron rods were also used.
Some of the myths or beliefs about kites -
Kite flying is practiced in almost all countries of the world today. However,
there are some differences between kites in the country and abroad. Because the
people of every dragon-loving country want to express their culture, myths and
even religion through dragons. In China, Japan and Taiwan, kite flying is a
national festival. This day is a public holiday in the countries. The Malays
consider the dragon a symbol of holiness. They think of the dragon as a ghost.
They believe that ghosts or evil jinn’s do not come near the house where the
kite is flown. New Zealanders fly a kind of kite called more to ward off evil
spirits. There are many holes in this kite. He puts metal sheets in the holes.
When the wind blows and enters the hole, it makes a strange noise. And at that
word, the evil spirits run away.
In ancient times, in April of the year,
everyone would fly a kite in the sky and send news to the family remembering
their ancestors or dead relatives. And kite flying is so popular in China and
Japan that kite flying was once officially banned in those countries because it
wasted most of the day behind it. Later, however, the ban was lifted. Yet the
Chinese and Japanese fly colorful kites in the form of the faces of various
prehistoric animals, including dragons.
Synthetic materials are in vogue in modern
day kites. Currently different types of kites are prevalent in different
countries of the world. Which is very large in size and beautiful to look at.
Which is very small in size which is used for fast flying or competition. At
the end of the 2011 Bristol Dragon Festival, the largest dragon remained in the
sky for about 20 minutes. It occupied about 10,981 square feet of land.
Sort of kite paper:
Kite paper is usually quite thin, so that
the kite is light and suitable for floating in the air. In many countries the
use of white paper as well as colored paper for making kites is seen in most
cases, and the main reason for this is entertainment and aesthetics.
Spinning:
Another kite is a special spice mixed with
glass powder, glue, etc. for the purpose of cutting yarn, which is spread on
the yarn and dried in the sun.
Dragon fight:
Although kite fighting is seen throughout
the year, special kite flying festivals are held in Bangladesh, India,
Pakistan, Afghanistan and other parts of India. In kite fighting, usually more
than one fighter tries to cut the kite by pulling or dropping the kite
(loosely) by flying the kite with the manja thread. The winning kite flies in
the sky and the losing kite falls swaying in the wind. Adolescents-young-old
try to pick up the fallen kite.
Bangladeshi naming:
The names of the dragons in Bangladesh are
also strange. Such as- Bengali, Madna, Aukka, Patenga, Chong, Sapa, Goa,
Poyataya, Adhataya, Ekataya, Chiral, Lenja, Petkata, Masranga, Eagle, Banga,
Mouchak, Kamranga, Fire Bird, Owl, Gemini, Charki, Pal Tola , National flags,
daus, candles etc. And there are some similarities between our country's kite
and Malay or Malaysian kite.
Chinese:
The Chinese call the kite the yuan. About
three hundred species of colorful kites, butterflies, dragons, octopuses,
phoenixes, birds, humans, fairies, ships, etc. can be seen flying in the
Chinese sky. And the funniest kite is the lantern kite. At night the lantern is
placed in this kite and flown.
Japanese: Dolphins, boxes, crabs, ants, iguana,
lizards, bananas, radishes, etc.
Vietnamese and Malaysian:
Musical kites are popular in Vietnam and
whistle kites in Malaysia. The kites used in these areas are usually small in
size, flat and flattened. These kites with different designs are made of paper
and bamboo.
Indian:
In West Bengal, a square kite made of two
sticks with no variation in shape. They are made in different designs only with
different colored paper. As per the design, they are called by different names,
such as Chandial, Dhupial, Ghayala, Chowrangi, Hutum Owl, Lakshmi Owl, Durga,
Ravana, Lakshmi, Swarasati, Ganesha, Trishul, Lota, Ghati, Bati etc.
Poush Sankranti:
Poush Sankranti or Makar Sankranti is a
special festival day in Bengali culture. This festival is celebrated on the
last day of Bengali Poush month. On this day Bengalis organize various
programs. One of them is eating cake and flying kites. After flying kites all
day, in the evening the festival ends with the firing of lanterns. The
traditional Joydev Mela is held on this day in the village of Kenduli in
Birbhum, India. Baul songs are one of the attractions of this fair. Basically a
moment in astrology. The word 'Capricorn' refers to the entry of the Sun into
Capricorn from its own orbit. According to Indian astrology, 'Sankranti' is a
Sanskrit word, meaning to move from one sign of the Sun to another. According
to the 12 signs, there are a total of 12 such constellations.
Note:
Bangladesh is an agricultural country and most of the people in this country
are involved in agriculture. There is an ongoing tradition in this country that
kite flying competitions were held on the thirteenth Parvan and Makar Sankranti
in twelve months and were enjoyed by the people of rural Bengal. However, at
the present time, the world is changing due to the corona virus and people are
becoming unemployed. The way of life is changing. People are bound by social
distance and home. So in the afternoon all the young and old, young and old are
flying kites together. As far as I know, never before in the history of
Bangladesh have so many kites flown in the sky of Bengal.
#coronavirus
#kitefly #fakhrulalam #lifeissimplebd #covid19 #bd #bangladesh #makarsankranti
#tradition #agricultural #bangla
ঘুড়ির জানা অজানা ইতিহাস
ঘুড়ি এক প্রকারের হাল্কা খেলনা, যা সুতা টেনে
আকাশে ওড়ানো হয়। পাতলা কাগজের সাথে চিকন কঞ্চি লাগিয়ে সাধারণত ঘুড়ি তৈরি করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন উপাদান ও নকশার ঘুড়ি রয়েছে। বিশ্বজুড়েই ঘুড়ি
ওড়ানো একটি মজার খেলা। এছাড়াও বহু দেশে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব ও প্রতিযোগিতার আয়োজন
করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান প্রভৃতি
দেশে ঘুড়ি ওড়ানো একটি বিনোদনমূলক অবসর বিনোদন। বাংলাদেশে, বিশেষ করে পুরনো ঢাকায়
পৌষ মাসের শেষ দিন, অর্থাৎ পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ানো উৎসব পালন করা হয়। ভারতের
পশ্চিমবঙ্গে বিশ্বকর্মা পূজার দিন ঘুড়ি ওড়ানোর প্রথা রয়েছে।
ঘুড়ির ইতিহাসঃ
ধারনা করা হয় যে, প্রায় ২,৮০০ বছর পূর্বে চীন
দেশে ঘুড়ির সর্বপ্রথম ঘুড়ির উৎপত্তি ঘটেছে। পরবর্তীকালে এটি এশিয়ার অন্যান্য দেশ
- বাংলাদেশ, ভারত, জাপান এবং কোরিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও, ইউরোপে ঘুড়ি খেলাটির
প্রচলন ঘটে প্রায় ১,৬০০ বছর পূর্বে। প্রথমদিকে ঘুড়ি কাগজ অথবা হাল্কা তন্তুজাতীয়
সিল্কের কাপড় দিয়ে উড়ানো হতো। ব্যবহৃত অন্যান্য উপাদানের অংশ হিসেবে ঘুড়িতে বাঁশের
কঞ্চি কিংবা অন্যান্য শক্ত অথচ নমনীয় কাঠ দিয়ে তৈরী করা হয়। এছাড়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
উপাদান হিসেবে সুতা কিংবা পাতলা দড়ি ব্যবহৃত হয়।
ডিসেম্বর ১৯০১ সালে ঘুড়ির মধ্যে অ্যান্টেনা লাগিয়ে
নিউফাউন্ডল্যান্ডের বৈজ্ঞানিক মার্কনি আকাশের ইলেকট্রোম্যাগনেটিভ ওয়েভ ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন।
১৭৫২ সালে বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন আকাশে একটি সিল্কের ঘুড়ি উড়িয়ে তার সাহায্যে
কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত বিদ্যুত ও আকাশের বিদ্যুত যে এক তা প্রমাণ করেছিলেন। এতে তিনি
বজ্রপাত থেকে বিদ্যুত প্রবাহের জন্য বিদ্যুত পরিবাহী তন্তুর ঘুড়ি ব্যবহার করেছিলেন।
ব্যবহৃত হয়েছিল চল্লিশ ফিট লম্বা লোহার দণ্ডও।
ঘুড়ি নিয়ে প্রচলিত কিছু মিথ বা বিশ্বাস- আজকের
পৃথিবীতে প্রায় সব দেশেই ঘুড়ি উড়ানোর প্রচলন রয়েছে। তবে দেশ-বিদেশের ঘুড়ির মধ্যে বেশ
কিছু পার্থক্য দেখা যায়। কারণ প্রতিটি ঘুড়িপ্রেমী দেশের মানুখন ঘুড়ির মাধ্যমে প্রকাশ
করতে চেয়েছে নিজেদের সংস্কৃতি, মিথ এমনকি ধর্মকেও। চীন, জাপান ও তাইওয়ানে তো ঘুড়ি উড়ানো
রীতিমতো জাতীয় উৎসব। এদিন দেশগুলোতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। ঘুড়িকে পবিত্রতার প্রতীক
মনে করে মালয়েশিয়ার মানুষ। তারা ঘুড়িকে মনে করে ভূত-প্রেতের ওঝা। তাদের বিশ্বাস যে
বাড়িতে ঘুড়ি উড়ানো হয় সে-বাড়ির ধারে-কাছে নাকি ভূত বা দুষ্ট জ্বিন আসে না। আবার নিউজিল্যান্ডের
অধিবাসীরা দুষ্ট আত্মা তাড়াতে মাওরি নামের এক ধরনের ঘুড়ি উড়ায়। এই ঘুড়ির মধ্যে থাকে
অনেক ছিদ্র। সে ছিদ্রে বসানো থাকে ধাতব পাত। উড়বার সময় বাতাস এসে সেই ছিদ্রে ঢুকলে
অদ্ভুত শব্দ হয়। আর সে শব্দেই নাকি দুষ্ট আত্মারা দৌঁড়ে পালায়।
প্রাচীনকালে পরিবারের পূর্বপুরুষ বা নিহত আত্মীয়স্বজনকে
স্মরণ করে সবাই বছরের এপ্রিল মাসে আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে তাদের উদ্দেশ্যে খবর পাঠাতো। আর
চীন এবং জাপানে ঘুড়ি উড়ানো এতটাই জনপ্রিয় যে, এর পেছনে দিনের অধিকাংশ সময় নষ্ট হত বলে
সে দেশগুলোতে এক সময় ঘুড়ি উড়ানো সরকারিভাবেই নিষিদ্ধ ছিল। পরে অবশ্য এ নিষেধাজ্ঞা তুলে
নেয়া হয়। এখনো চীনা আর জাপানিরা ড্রাগণসহ নানা প্রাগৈতিহাসিক জীবজন্তুর মুখের আদলে
রঙ-বেরঙের ঘুড়ি উড়ায়।
আধুনিককালের ঘুড়িগুলোয় সিনথেটিক জাতীয় পদার্থের
প্রচলন রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত। কোনটি
আকারে খুব বড় ও দেখতে নয়ন মনোহর। আবার কোনটি আকারে খুবই ছোট যা দ্রুত উড়তে কিংবা
প্রতিযোগিতায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ব্রিষ্টল ঘুড়ি উৎসব শেষে সবচেয়ে
বড় ঘুড়িটি প্রায় ২০ মিনিট আকাশে অবস্থান করে। এটি ভূমির প্রায় ১০,৯৭১ বর্গফুট জায়গা
দখল করেছিল।
ঘুড়ির কাগজ বাছায়ঃ
ঘুড়ির কাগজ সাধারণত হয় বেশ পাতলা, যাতে ঘুড়ি
হয় হালকা এবং বাতাসে ভাসার উপযোগী। অনেক দেশেই ঘুড়ি বানানোর জন্য সাদা কাগজের পাশাপাশি
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রঙিন কাগজ ব্যবহারের রীতি দেখা যায়, এবং এর মূল কারণ মনোরঞ্জন ও
সৌন্দর্য্যবৃদ্ধি।
সুতা মাঞ্জা করাঃ
অন্য ঘুড়ির সুতা কাটার উদ্দেশ্যে কাচের গুঁড়ো,
আঠা ইত্যাদি মিশ্রিত বিশেষ মশলা যা সুতায় মাখিয়ে রোদে শুকানো হয়।
ঘুড়ির লড়াইঃ
ঘুড়ি কাটাকাটির লড়াই সারা বছরই দেখা গেলেও
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান প্রভৃতি ভারতবর্ষীয় অঞ্চলগুলোতে ঘুড়ি উড়ানোর
বিশেষ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ঘুড়ির লড়াইয়ে সাধারণত একাধিক লড়াকু মাঞ্জা দেওয়া সূতা
দিয়ে ঘুড়ি উড়িয়ে একজন আরেকজনের ঘুড়িকে টানে অথবা ছেড়ে (ঢিল পদ্ধতিতে) কাটার চেষ্টা
করেন। বিজয়ী ঘুড়ি আকাশে উড়তে থাকে আর হেরে যাওয়া অর্থাৎ কেটে যাওয়া ঘুড়ি বাতাসে
দুলতে দুলতে ভুপাতিত হয়। ভুপাতিত ঘুড়ি কুড়িয়ে নেয়ার জন্য কিশোর-যুবক-বৃদ্ধ চেষ্টা
করেন।
বাংলাদেশী নামকরণঃ
বাংলাদেশের ঘুড়িগুলোর নামও কিন্তু অদ্ভুত। যেমন-
বাংলা, মদনা, আউক্কা, পতেঙ্গা, চং, সাপা, গোয়া, পোয়াতায়া, আধাতায়া, একতায়া, চিরল, লেঞ্জা,
পেটকাটা, মাছরাঙা, ঈগল, ব্যাঙা, মৌচাক, কামরাঙা, আগুণ পাখি, প্যাঁচা, জেমিনি, চরকি,
পাল তোলা জাহাজ, জাতীয় পতাকা, ডাউস, মোমবাতি ইত্যাদি। আর আমাদের দেশের ঘুড়ির সাথে মালয়
বা মালয়েশিয়ার ঘুড়ির কিছু মিলও পরিলক্ষিত হয়।
চাইনীজঃ
চীনারা ঘুড়িকে ইউয়ান বলে। রঙ-বেরঙের সুন্দর মাছ,
প্রজাপতি, ড্রাগণ, অক্টোপাস, ফিনিক্স, পাখি, মানুষ, পরী, জাহাজ ইত্যাদি প্রায় তিনশ’
রকমের ঘুড়ি চিনের আকাশে উড়তে দেখা যায়। আর সবচেয়ে মজার ঘুড়ি হলো লন্ঠন ঘুড়ি। রাত্রিবেলায়
এই ঘুড়ির মধ্যে লন্ঠন বসিয়ে উড়ানো হয়।
জাপানীজঃ ডলফিন, বক্স, কাঁকড়া, পিপিলিকা, ইগুয়ানা, লিজার্ড,
ব্যানানা, র্যাডিস ইত্যাদি।
ভিয়েতনামী ও মালয়েশিয়ানঃ
ভিয়েতনামে মিউজিক্যাল কাইটস ও মালয়েশিয়ার হুইসেল
কাইটস বেশ জনপ্রিয়। এসব অঞ্চলে ব্যবহৃত ঘুড়িগুলো আকারে সাধারণত ছোট, সমতল ও চ্যাপটা
গড়নের হয়। বিভিন্ন নকশা আঁকা এই ঘুড়িগুলো কাগজ ও বাঁশের তৈরি।
ভারতীয়ঃ
পশ্চিমবঙ্গে দুটি কাঠি দিয়ে তৈরী বর্গাকৃতির
ঘুড়ি যার আকারগত কোনো বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায় না। কেবল নানা রঙের কাগজ দিয়ে বিভিন্ন
ডিজাইনে তৈরী করা হয়ে থাকে। ডিজাইন মতো তাদের বিভিন্ন নামে ডাকা হয়, যেমন চাঁদিয়াল,
ঢুপিয়াল, ঘয়লা, চৌরঙ্গী, হুতুম পেঁচা, লক্ষ্মী পেঁচা, দূর্গা, রাবণ, লক্ষ্মী, স্বরসতি,
গণেশ, ত্রিশূল, লোটা, ঘটি, বাটি ইত্যাদি।
পৌষ সংক্রান্তিঃ
পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি বাঙালি সংস্কৃতিতে
একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এই দিন বাঙালিরা
বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। তার মধ্যে পিঠা খাওয়া, ঘুড়ি উড়ানো অন্যতম।
সারাদিন ঘুড়ি উড়ানোব পরে সন্ধ্যায় পটকা ফুটিয়ে ফানুস উড়িয়ে উৎসবের সমাপ্তি করে।
ভারতের বীরভূমের কেন্দুলী গ্রামে এই দিনটিকে ঘিরে ঐতিহ্যময় জয়দেব মেলা হয়। বাউল
গান এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ। মূলত জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি ক্ষণ। 'মকরসংক্রান্তি' শব্দটি
দিয়ে নিজ কক্ষপথ থেকে সূর্যের মকর রাশিতে প্রবেশকে বোঝানো হয়ে থাকে। ভারতীয় জ্যোতিষ
শাস্ত্র অনুযায়ী 'সংক্রান্তি' একটি সংস্কৃত শব্দ, এর দ্বারা সূর্যের এক রাশি থেকে
অন্য রাশিতে প্রবেশ করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। ১২টি রাশি অনুযায়ী এরকম সর্বমোট ১২টি
সংক্রান্তি রয়েছে।
নোটঃ
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধানদেশ এবং এই দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের সাথে জড়িত। এই
দেশে চলমান প্রদাব আছে যে, বারো মাসে তেরো পারবন এবং মকরসংক্রান্তির দিন ঘুড়ি উড়ানোর
প্রতিযোগীতা হতো এবং তা গ্রাম বাংলার মানুষ উপভোগ করতো। তবে বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসের
কারণে পৃথিবী বদলে যাচ্ছে এবং মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে। জীবনযাপনের ধরণ পরিবর্তন হয়ে
চলেছে। মানুষ সামাজিক দুরত্ব এবং বাড়িতে আবদ্ধ থাকছে। তাই বিকেল সময়ে ছোট-বড়, যুবক-বৃদ্ধ
সকলে মিলে ঘুড়ি উড়াচ্ছে। আমার জানা মতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো ঘুড়ি আগে কখনো উড়েনি
এই বাংলার আকাশে।
Great Job...
ردحذفإرسال تعليق
If you have any information to know ? Please comment.